সর্বশেষ খবর

নদী ভাঙনে ব্রজনাথপুর গ্রাম গৃহহারা অনেকেই

মোঃ শাহাদাত হোসেনঃ 2 নং বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন দিক দিয়ে প্রবাহিত মহানন্দা নদীতে প্রায় প্রতি বছরই  বর্ষা মৌসুমে ভাঙন হয়ে থাকে । তাই এ বছরও এর ব্যতিক্রম নয়।  ভাঙনের ফলে ব্রজনাথপুর গ্রামের রিফিউজি পাড়া  প্রাই বিলুপ্তির পথে। অনেক ঘড়-বাড়ি, বসত ভিটা সহ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকেই  বসত ভিটা হারিয়ে সহায় সম্মলহীন ভাবে অন্যত্রে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।



নদী ভাঙন একাংশে পাথরের ব্লক দিয়ে বাধা থাকলেও বাঁকি অংশে কোন ব্লক না থাকায় ভেঙেই চলেছে অনবরত। এ বছরে ভাঙনের ফলে বিলীন হয়েছে বসতবাড়ী,ফলজ ও বনজ বৃক্ষ, পাকা রাস্তা। বন্য মৌসুমে জনপ্রতিনিধীরা অত্র এলাকা পরিদর্শন করে গেলেও মিলেনি আশানুরূপ ফল।

গ্রামবাসীর চাওয়া উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ যদি সু-দৃষ্টি দেন তাহলে নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে গ্রামটি, না হলে বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়ে পথে বসতে হবে অনেককেই।














পানির নিচে বাঙ্গাবাড়ী, সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা

ডেস্ক রিপোর্ট: রাস্তায় বের হলেই এখানে ওখানে উপচে পড়া পানি এবং হাঁটু পানির নিচে রাস্তা বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের এখন সাধারন একটা দৃশ্য। কারো কারো বাড়ি থেকে বের হয়ে এক হাঁটু পানি ভেঙে তারপরে যেতে হচ্ছে কোথাও। বাড়ির বৃদ্ধ, মেয়ে, শিশুদের ক্ষেত্রে তাও সম্ভব হচ্ছে না।

বাঙ্গাবাড়ী ইউনুস স্মরণী স্কুল ও কলেজ

“রাস্তার বেহাল দশা” রাস্তার মাঝে বিশাল গর্ত যেন এক মৃত্যু কুপ


শাহাদাত হোসেন: শিশাটোলা ও অজগরা গ্রামের সীমানা বরাবর যে রাস্তাটি সেটি যেন এক মৃত্যুকুপ।  শিশাটোলা থেকে বাংগাবাড়ী সংযোগকারী প্রধান  রাস্তাটি বিগত প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর যাবত কোন সংস্কার তো নেই তার উপর বর্ষোকালে বৃষ্টির পানি রাস্তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রাস্তার একাংশে বিশাল এক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত রাস্তাটি দিয়ে কোন গাড়ি-ঘোড়া চলাচল করতে পারে না।


অত্র রাস্তাটির কারনে চলতি বছর ঘরে ধান তুলতে কৃষকের অনেক ভোগান্তী পেহাতে হয়েছে। মহিষের গাড়ি রাস্তাটি দিয়ে পার হতে পারেনি।  এমন কি অন্ধকার রাত্রীতে অপরিচিত লোকজন যখন রাস্তাটি পার হয় হেঁটে বা যানবহন নিয়ে তখন তারা দূর্ঘটনার  শিকার হয় । না জানা হেতু অনেকে সেখানে মূখ থুবরে পড়ে। ১০  ফিট প্রসস্থ  রাস্তাটি এখন  ভাঙতে ভাঙতে ১৫ ফিট প্রসস্থ হয়ে গিয়েছে। তাই  অন্যের বসত ভিটার উপর দিয়ে জনসাধারণকে রাস্তা চলতে হয় তাও আবার খুব সংকীর্ণ ।

মানব সভ্যতার ইতিহাস বলে, মানব সম্প্রদায়ের পদচারণাই নতুন নতুন পথের জন্ম দিয়েছে । আগে থেকেই কোন পথ সৃষ্ট থাকেনি । বরং 'সৃষ্টিশীল মানুষ তার জীবনের গতি অক্ষুণ্ণ রাখতে নতুন নতুন পথের জন্ম দিয়েছে । ফলে পথ সৃষ্টি হয়েছে পথিকের মাধ্যমে । মানুষ প্রয়োজনে - অপ্রয়োজনে পদচিহ্ন রাখতে রাখতে এক সময়ে পথের সৃষ্টি হয়। পথ তৈরির জন্য পথের 'কোন' ভূমিকা থাকে' না, মানুষেরই 'ভূমিকা থাকে । কেননা পথ তৈরিতে ষোল আনা ▪ কৃতিত্ব মানুষেরই, পথের নয় ।


এমতাবস্থায় এলাকাবাসির চাওয়া অত্র রাস্তাটি তে যদি  ২ কাঁকড়া ভাঙা ইট ফেলা হয় তবেই রাস্তাটি চলাচল উপযোগী হবে। তাই স্থানীয় সমাজসেবী ও স্ব-হৃদয়বান ব্যাক্তিদের  কাছে গ্রামবাসীর আকূল চাওয়া  উক্ত রাস্তাটি যেন খুব তাড়াতাড়ি সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করা হয়।

বর্ষাকালে চরম দূর্ভোগে সন্তোষপুর কামাত কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা

Bangabari Community Clinic

শাহাদাত হোসেন: বঙ্গবন্ধু সন্তোষপুর (কামাত) কমিউনিটি ক্লিনিকটি ২ নং বাংগাবাড়ী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে কামাত গ্রামে অবস্থিত। বাংগাবাড়ী ইউনিয়নে মোট ৪ টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে, তার মধ্যে বঙ্গবন্ধু সন্তোষপুর (কামাত) কমিউনিটি ক্লিনিক একটি। অন্য সকল কমিউনিটি ক্লিনিকের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলেও, বর্ষাকালে বেহাল অবস্থা হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু সন্তোষপুর (কামাত) কমিউনিটি ক্লিনিকটি।

ক্লিনিকে যাওয়ার প্রধান রাস্তাটি বৃষ্টির পানিতে ডুবে গিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। একটি ডোবার উপর ক্লিনিক টি অবস্থিত । বর্ষাকালে বর্ষার পানিতে ডুবে গিয়ে থৈ-থৈ করে ক্লিনিকের আশপাশ। প্রায় ছয়( ৬০০০) হাজার জনগোষ্ঠি সংবলিত গ্রাম কামাত ও এর আশপাশ থেকে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী আসে উক্ত ক্লিনিকে সেবা নিতে। কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারণে সেবা নিতে আসা রোগীরা চরম ভোগান্তীতে পড়ছে।


এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধী ০১ নং ওয়ার্ড সদস্য ও অত্র ক্লিনিক সভাপতি  জনাব মোঃ আশরাফুল ইসলাম এর মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “আমি সর্বাত্মক সহযোগীতা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো”

অত্র ক্লিনিকের( সি.এইচ.সি.পি) রুহুল আমিন খান জানান “গত কয়েকদিন যাবত বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার জন্য ক্লিনিকে সেবা দিতে অসুবিধা হচ্ছে।

বাংগাবাড়ী ইউএস স্কুল ও কলেজের এসএসসি পাশের হার ৯৮.৬%

বাঙ্গাবাড়ী স্কুল ও কলেজ
শাহাদাত হোসেন: বাঙ্গাবাড়ী ইউনুস স্মরনী স্কুল ও কলেজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলাধীন বাংগাবাড়ী ইউনিয়নের অন্যতম একটি শিক্ষা  প্রতিষ্ঠান । অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ২০২০ সালে মোট ১০৩ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী কাঙ্খিত সাফল্যের আশায় পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।

১০৩ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে মানবিক বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করেছিল ৫১ জন  এবং বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৫২ জন। যার মধ্যে মানবিক বিভাগ থেকে কৃতকার্য হয়েছে ৪৯ জন এবং অকৃতকার্য হয়েছে ০২ জন। এবং বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতকার্য হয়েছে ৫২ জন অকৃতকার্য হয়েছে ০০ জন মোট পাশের হার ৯৮.৬%। জিপিএ ৫ পেয়েছে মোট ১৬ জন এর মধ্যে মানবিক বিভাগ থেকে ০১ জন ও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৫ জন।

অর্জিত ফলাফলের উপর অধ্যক্ষ ও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মতামত জানতে চাওয়া হলে  অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ মোস্তফা কামাল জানান “আমি ব্যক্তিগতভাবে উক্ত ফলাফল পেয়ে মোটামুটি সন্তুষ্ট কিন্ত ১০০% ফলাফল হলে ভালো হতো।” পক্ষান্তরে সভাপতি (সাবেক অধ্যক্ষ অত্র প্রতিষ্ঠান)  মোঃ বদিউজ্জামান (দুলু) মতামত ব্যক্ত করেন যে,“উক্ত ফলাফলে আমিও সন্তুষ্ট তবে  দুই অকৃতকার্য না হলে ১০০% ফলাফল পেতাম।”


এ বছর ঘরে ধান তুলতে কৃষকের প্রধান অন্তরায় বৃষ্টি ও অধিক ফলনের ধান উৎপাদন

ধানের জমি
শাহাদাত হোসেন: বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলাধীন বাংগাবাড়ী ইউনিয়ন ও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংগাবাড়ী ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষের পেশা মূলত কৃষি। কৃষিই অত্র এলাকার মানুষের অন্যতম জীবন জীবিকা। তবে এ মৌসুমে বোরো ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের অনেক ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে।

বৃষ্টির কারনে পাকা ধান কাটতে পারছে না কৃষকরা। যদিও  দু- এক দিনের খড়ায় ধান কাটছে তবুও সেই পাকা কাটা ধানে হানা দিচ্ছে বৃষ্টি। বৃষ্টি প্রায় প্রতিনিয়তই সংঘটিত হচ্ছে অত্র অঞ্চলে। অনেক ধান জমিতে  ভিজে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভেজা পরিবেশে জমি থেকে ধান উত্তোলন করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় ঘরে ধান তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।

এ বছরের মাঠের ধানের অবস্থা এক কৃষকের কাছে জানতে চাওয়া হলে সে জানায় “বৃষ্টির করনে ধান তুলতে আমাদের অনেক কষ্ট তো হচেছই তবে এরকম হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে অধিক ফলনের ধান উৎপাদন যা দেশীয় পারিজা জাতের ধানের চাইতে 20-25 দিন বেশি সময় নেই পাকতে।

দেশীয় পারিজা জাতের ধান যেখানে বৈশাখ মাসের শুরু বা মাঝামাঝি সময়ে ঘরে তোলা সম্ভব সেখানে উচ্চ ফলনসীল  ধান  ঘরে তুলতে তার চাইতে বেশি সময় লাগে। আর এমন সময় এস যায় বৃষ্টির মৌসুম। যার কারনে অনেক ধান জমিতেই ঝরে গিয়ে ব্যাপক ফসল হানী ঘটছে।

এহেন পরিবেশে ফলনের  ক্ষতি মেনে  নিয়ে  কষ্ট করে হলেও ঘরে তুলতে হচ্ছে  ধান। অন্য একটি আশা নিয়ে আর তা হলো নায্য মূল্য প্রাপ্তি।