এ বছর ঘরে ধান তুলতে কৃষকের প্রধান অন্তরায় বৃষ্টি ও অধিক ফলনের ধান উৎপাদন
শাহাদাত হোসেন: বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলাধীন বাংগাবাড়ী ইউনিয়ন ও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংগাবাড়ী ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষের পেশা মূলত কৃষি। কৃষিই অত্র এলাকার মানুষের অন্যতম জীবন জীবিকা। তবে এ মৌসুমে বোরো ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের অনেক ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে।
বৃষ্টির কারনে পাকা ধান কাটতে পারছে না কৃষকরা। যদিও দু- এক দিনের খড়ায় ধান কাটছে তবুও সেই পাকা কাটা ধানে হানা দিচ্ছে বৃষ্টি। বৃষ্টি প্রায় প্রতিনিয়তই সংঘটিত হচ্ছে অত্র অঞ্চলে। অনেক ধান জমিতে ভিজে পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভেজা পরিবেশে জমি থেকে ধান উত্তোলন করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় ঘরে ধান তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।
এ বছরের মাঠের ধানের অবস্থা এক কৃষকের কাছে জানতে চাওয়া হলে সে জানায় “বৃষ্টির করনে ধান তুলতে আমাদের অনেক কষ্ট তো হচেছই তবে এরকম হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে অধিক ফলনের ধান উৎপাদন যা দেশীয় পারিজা জাতের ধানের চাইতে 20-25 দিন বেশি সময় নেই পাকতে।
দেশীয় পারিজা জাতের ধান যেখানে বৈশাখ মাসের শুরু বা মাঝামাঝি সময়ে ঘরে তোলা সম্ভব সেখানে উচ্চ ফলনসীল ধান ঘরে তুলতে তার চাইতে বেশি সময় লাগে। আর এমন সময় এস যায় বৃষ্টির মৌসুম। যার কারনে অনেক ধান জমিতেই ঝরে গিয়ে ব্যাপক ফসল হানী ঘটছে।
এহেন পরিবেশে ফলনের ক্ষতি মেনে নিয়ে কষ্ট করে হলেও ঘরে তুলতে হচ্ছে ধান। অন্য একটি আশা নিয়ে আর তা হলো নায্য মূল্য প্রাপ্তি।