“রাস্তার বেহাল দশা” রাস্তার মাঝে বিশাল গর্ত যেন এক মৃত্যু কুপ
শাহাদাত হোসেন: শিশাটোলা ও অজগরা গ্রামের সীমানা বরাবর যে রাস্তাটি সেটি যেন এক মৃত্যুকুপ। শিশাটোলা থেকে বাংগাবাড়ী সংযোগকারী প্রধান রাস্তাটি বিগত প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর যাবত কোন সংস্কার তো নেই তার উপর বর্ষোকালে বৃষ্টির পানি রাস্তার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রাস্তার একাংশে বিশাল এক গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত রাস্তাটি দিয়ে কোন গাড়ি-ঘোড়া চলাচল করতে পারে না।
অত্র রাস্তাটির কারনে চলতি বছর ঘরে ধান তুলতে কৃষকের অনেক ভোগান্তী পেহাতে হয়েছে। মহিষের গাড়ি রাস্তাটি দিয়ে পার হতে পারেনি। এমন কি অন্ধকার রাত্রীতে অপরিচিত লোকজন যখন রাস্তাটি পার হয় হেঁটে বা যানবহন নিয়ে তখন তারা দূর্ঘটনার শিকার হয় । না জানা হেতু অনেকে সেখানে মূখ থুবরে পড়ে। ১০ ফিট প্রসস্থ রাস্তাটি এখন ভাঙতে ভাঙতে ১৫ ফিট প্রসস্থ হয়ে গিয়েছে। তাই অন্যের বসত ভিটার উপর দিয়ে জনসাধারণকে রাস্তা চলতে হয় তাও আবার খুব সংকীর্ণ ।
মানব সভ্যতার ইতিহাস বলে,
মানব সম্প্রদায়ের পদচারণাই
নতুন নতুন পথের জন্ম দিয়েছে ।
আগে থেকেই কোন পথ সৃষ্ট
থাকেনি । বরং 'সৃষ্টিশীল মানুষ
তার জীবনের গতি অক্ষুণ্ণ রাখতে নতুন নতুন পথের জন্ম দিয়েছে ।
ফলে পথ সৃষ্টি হয়েছে পথিকের মাধ্যমে ।
মানুষ প্রয়োজনে - অপ্রয়োজনে পদচিহ্ন রাখতে রাখতে এক সময়ে পথের সৃষ্টি হয়।
পথ তৈরির জন্য পথের 'কোন' ভূমিকা থাকে' না, মানুষেরই 'ভূমিকা থাকে ।
কেননা পথ তৈরিতে ষোল আনা ▪ কৃতিত্ব মানুষেরই, পথের নয় ।
এমতাবস্থায় এলাকাবাসির চাওয়া অত্র রাস্তাটি তে যদি ২ কাঁকড়া ভাঙা ইট ফেলা হয় তবেই রাস্তাটি চলাচল উপযোগী হবে। তাই স্থানীয় সমাজসেবী ও স্ব-হৃদয়বান ব্যাক্তিদের কাছে গ্রামবাসীর আকূল চাওয়া উক্ত রাস্তাটি যেন খুব তাড়াতাড়ি সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করা হয়।